1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে আ. লীগ : ফখরুল

  • Update Time : শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৪২ Time View

ওয়েব ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার কিছু দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলে। তারা চিন্তা করেছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আমরা (আওয়ামী লীগ) কোনো দিন ক্ষমতায় যেতে পারব না। তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাদ দিয়ে দেয়। অথচ ১৯৯৬ সালে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এমনকি আওয়ামী লীগও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে ছিল।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সংগঠনটির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংসদে সেটা পাস করেছিলেন।

ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে আর সে রকম নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশন গঠন হবে ঠিক, যখন সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যবস্থা করা হবে। সেই কমিশনের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। তার আগে অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। আর ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। তার আগে কোনো নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, আজকে আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা যে অধিকারগুলো অর্জন করেছিলাম, আজকে সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৯০ সালে একটি গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলাম সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রকে একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। যেখানে মানুষের কোনো অধিকার নেই, মানুষ তার কোনো অধিকার পূরণ করতে পারছে না। এমনকি জনগণ তাদের ভোটও দিতে পারছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে। দুর্ভাগ্য আমাদের, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে ব্যবস্থা সেই ব্যবস্থাকে আমরা এখন পর্যন্ত সুনিশ্চিত করতে পারিনি। কার জন্য পারিনি? আওয়ামী লীগের জন্য পারিনি। কারণ এই সরকার চায় দেশে একটিমাত্র দল থাকবে, একটি মাত্র পরিবার থাকবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারাজীবন মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। অথচ আজ তিনি গৃহবন্দি। এই মহান নেত্রী বাংলাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে অবদান রেখেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..